সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বৈশিষ্ট্য

অবরুদ্ধ চতুর্থ মাত্রা

গেন্ডারিয়া রেলপথ কোনো এক সাহিত্যিকের লেখায় হয়তোবা পড়েছিলাম—ভোরের মলিন হাওয়া, প্রশ্বাসের সাথে তীক্ষ্ণ চুরি হয়ে সব যন্ত্রণা-বিষন্নতা-ক্লান্তির বক্ষ চিরে বের হয়। এখানে ভোরের হাওয়া নেই, তবে সারা দিনের শব্দ দূষণের তীব্রতা কান দিয়ে প্রবেশ ক’রে নিঃশ্বাস ফেলার কোনো রন্ধ্র খুঁজে পায় না। গত রাত্তিরে থেকে এখন আরেক রাত্তিরে, বিষম মাথাব্যথা প্রশমিত হতে একদমই নারাজ। অর্ধদিন ঘুমোলাম—অর্ধদিন ফোন টিপলাম, কোনো কাজে দিল না। সত্যিকারার্থে আমি নিজেই কেন জানি অসুস্থতাকে প্রশ্রয় দিই। এভাবে কি আর চলে! রুমমেটকে বললাম, “চল ব্রো, রেললাইন থেকে ঘুরে আসি।” “আমরা দুজন পাগল হ’য়া গেসি” সে বলল। পাঞ্জাবিটা পরে নিলাম। প্রতিসারকে গিয়ে হাত দিয়ে চুলগুলো ঠিক করলাম। গত পরশু বন্ধুরা বলেছিল যে, চুলগুলো আরেকটু বড়ো হলে আমায় নাকি কবিকবি ভাব গ্রাস করবে। বের হলাম। সিঁড়ি গড়ার আগেই বললাম, “আমরা কত মাস এখানে?” অঙ্ক কষে বলল, “আমার চার মাস হয়ে গেছে। ও! তুমি আর আমি একসাথে এসছি তার মানে তোমার আমার একই।” ভেবেও বিস্মিত হচ্ছি কীভাবে এই স্বাধীন জীবন ইটপ্রাচীরের শক্ত গাথুনিতে আটকে যাচ্ছে। স্বপ্ন ছিল অ্যাঞ্জেল হয়ে ওড়ার—হুাহু...

সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

নিশীথের নিস্তব্ধতা

ভস্মীভূত নিঃশেষ

ফুল

তাহলে সে

দিব্যাঙ্গনা

একাগ্রতার কলতান

আমি তাকে অনুভব করি